আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ট্রিকবিডিবাসী
আমরা সবাই ইদানিং একটা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি আর সেটা হলো ৩/৭/৩০ দিনের জন্য ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিকটেড অথবা ডিরেক্ট ডিজেবল হয়ে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো কেনো ডিজেবল হচ্ছে আইডিগুলো?
আমরা সবাই জানি যে সারা পৃথিবীর বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। তাই কোন একাউন্ট থেকে কখন ফেসবুকে কি পোস্ট করা হচ্ছে, কোথায় কমেন্ট করা হচ্ছে এটা কোনো মানুষ দ্বারা ফেসবুক কোম্পানির পর্যবেক্ষণ করানো সম্ভব নয়। কারণ প্রতিদিন কোটি কোটি ফেসবুক একাউন্টের পোস্ট লাখ লাখ মানুষ নিয়োগ করেও ফেসবুক নজরদারি করতে পারবে না। তাই এসবের মধ্যে খারাপ পোস্ট বা খারাপ কমেন্ট যাচাইয়ের জন্য ফেসবুক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন বট ব্যবহার করে থাকে। এবং আমাদের ব্যবহৃত নোংরা, খারাপ অথবা হুমকি মূলক,উষ্কানিমূলক,ঝুকিপূর্ণ শব্দগুলো বটের সফটওয়্যারে কী- ওয়ার্ড আকারে সাজানো থাকে। আর ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট সকল পোস্ট স্ক্যান করার সময় যেসব পোস্টে তার কী ওয়ার্ডে রেকর্ডেড শব্দগুলো খুজে পায় তখন ওই পোস্ট দাতাকে রেস্ট্রিকটেড করে দেয় অথবা আইডিটাই ডিজেবল করে দেয়।
তাহলে এসব থেকে বাঁচার উপায় কি?১. ফেসবুক একাউন্ট তৈরি করার সময় অফিসিয়াল ডকুমেন্টস যেমন : জন্ম নিবন্ধন, এনআইডিকার্ড,পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স এ থাকা তথ্যগুলো দিয়ে একাউন্ট তৈরি করুন।তাহলে ডিজেবল হয়ে গেলে সহজেই রিকভার করতে পারবেন।
২. সবসময় ভালো পোস্টে লাইক/রিয়েক্ট করুন।নোংরা বা অশ্লীল পোস্টে রিয়েক্ট/লাইক করা থেকে বিরত থাকুন।
৩. যেকারো পোস্টে কোনো খারাপ কমেন্ট, উষ্কানিমূলক কমেন্ট করবেন না। এমনকি কাউকে মজা করেও গালি দিবেন না, মনে রাখবেন ফেসবুকের অ্যালগরিদম কোনো মজা /ফাজলামো বুঝে না।
৪. কোনো পর্ণগ্রাফি,অশ্লীল ছবি ফেসবুকে পোস্ট করবেন না। এমনকি কোনো ফেসবুক গ্রুপে বা কাউকে এসব মেসেঞ্জারেও পাঠাবেন না।
৫. মেসেজে কারো সাথে খারাপ ব্যবহার /গালাগালি করবেন না কারণ এসবকে ফেসবুক হ্যারেজমেন্ট হিসেবে শনাক্ত করে।
৬. ফেসবুকে এক মিনিটে খুব বেশি পোস্টে লাই/রিয়েক্ট করবেন না। ধীরে ধীরে লাইক / কমেন্ট করুন। কারণ খুব দ্রুত এসব করলে ফেসবুক ভেবে বসে কোনো বট হয়তো আইডি নিয়ন্ত্রণ করছে।
৭. কোনো থার্ডপার্টি অপরিচিত এপ বা ওয়েবসাইটকে ফেসবুক আইডির এক্সেস দিবেন না। এতে করে আইডি ডিজেবল হওয়ার ঝুকি বেড়ে যায়।
৮. কোনো অ্যাপস,ওয়েবসাইটের রেফার লিংক বার বার পোস্ট ও কমেন্টে দিবেন না।এর ফলে ফেসবুক আপনার আইডিকে স্প্যামিং এর মামলায় ফেলে দিতে পারে।
০৯. কোনো রক্তাক্ত বা আহত ব্যক্তির ছবি বা বিভৎস কোনো ছবি / ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করবেন না। এবং মদ, গাঁজা বা মাদকজাত দ্রব্যের ছবি পোস্ট বা ওসব বিক্রি করার চেস্টা করবেন না ফেসবুক এ।
১০. সর্বোপরি ফেসবুকের বিপক্ষে কোনো অভিযোগ করে আবার সেটা ফেসবুকেই পোস্ট করবেন না। এটা তাদের অ্যালগরিদম এর নজরে পড়লে ১০০% আইডিটা হারাবেন।
উপরেরর নিয়মগুলো মেনে চলুন,ভিপিএন ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবহার করবেন না,একটা ফোনে অনেক গুলো আইডি চালাবেন না এবং এর পরেও যদি আপনার আইডি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে ভেবে নিবেন যে এটা ফেসবুক এর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির ত্রুটি। তাই আরেকটি নতুন আইডি খুলে নিবেন।